শবে কদর বছরের শ্রেষ্ঠ রাত। শুধু তা-ই নয়, পবিত্র কোরআনে এ রাতকে হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। লাওহে মাহফুজ থেকে সমগ্র কোরআন দুনিয়ার আকাশে এ রাতেই নাজিল করা হয়। এরপর রাসুল (সা.)-এর নবুয়তি জীবনের ২৩ বছরে অল্প অল্প করে...
ইসলাম বলে, মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ নেই। কেউ কারও স্বাধীনতায় অবৈধ হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। রাজা-প্রজা, আমির-ফকির সবাই সমান। বিদায় হজের ভাষণে মহানবী (সা.) বলেন, ‘কালোর ওপর সাদার প্রাধান্য নেই, অনারবের ওপর আরবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই।’ (মুসনাদে আহমাদ: ২৩৫৩৬)
রমজান জাহান্নাম থেকে মুক্তির অপার সুযোগ। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজান। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের প্রথম দশক রহমতের, দ্বিতীয় দশক মাগফিরাতের এবং তৃতীয় দশক জাহান্নাম থেকে মুক্তির।’ (মুসনাদে আহমদ)
রমজান ইবাদতের মাস। রাসুলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবিগণ এ মাসকে দারুণভাবে পালন করতেন। সবাই এ মাসে ইবাদতের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতেন। রমজানে দিনের বেলায় সিয়াম সাধনার পর রাতের বেলায় চলত কিয়ামুল্লাইল তথা তারাবি ও তাহাজ্জুদ। দীর্ঘ তারাবির...
রমজানে রোজা রেখে খাবার চেখে দেখা যাবে কি? এর উত্তরে আলেমরা বলেছেন, রোজা রেখে বিনা প্রয়োজনে খাবার চেখে দেখা মাকরুহ। তবে চাকরি বাঁচানো, স্বামীর অসন্তুষ্টি ইত্যাদি দরকারি কারণে চেখে দেখলে রোজা ভাঙবে না।
পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। বুঝে হোক বা না বুঝে। তবে পবিত্র কোরআন বুঝে ও চিন্তাভাবনা করে পড়তে ইসলামে উৎসাহিত করা হয়েছে। বিভিন্ন আয়াতে কোরআনের মর্ম বোঝার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
ইসলামের দৃষ্টিতে যেকোনো ধরনের জুলুম-নির্যাতন হারাম। আর তা যদি হয় নারী নির্যাতন, তবে তা আরও গর্হিত ও নিন্দনীয় কাজ। শুধু এটুকুই নয়, নির্যাতনের পক্ষে সহায়ক সব ধরনের উপকরণ-উপাদানও ইসলামে নিষিদ্ধ।
রোজা হলো সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়ত করে পুরো দিন পানাহার ও যৌনাচার ত্যাগ করা। রোজা শুদ্ধ হওয়ার শর্ত হলো, পুরো দিন সব ধরনের খাবার ও পানীয় গ্রহণ এবং যৌনাচার থেকে বিরত থাকা। আর নারীদের জন্য বিশেষ শর্ত হলো, ঋতুস্রাব ও প্রসবকালীন স্রাব থেকে মুক্ত থাকা। এ ছাড়া মানসিকভাবে সুস্থ হওয়া তথা পাগল
রমজানের রোজা আমাদের আত্মা পরিশুদ্ধ করে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজজীবনে সুশৃঙ্খলভাবে চলার শিক্ষা দেয়। হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি ও আত্ম-অহংবোধ ভুলে গিয়ে সুখী, সুন্দর ও সমৃদ্ধিশালী সমাজ প্রতিষ্ঠার বার্তা দেয়। এটি আল্লাহর অফুরন্ত দয়া ও রহমতের মাস। এ মাস তাদের জন্যই...
প্রথম নবী হজরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে অনেক নবী-রাসুলের আমলেই রোজার বিধানের কথা জানা যায়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা যখন মুসলমানদের জন্য রোজা ফরজ করেন, তখন সেদিকে ইঙ্গিত করে মুসলমানদের সাহস জুগিয়েছেন।
রমজানে তাহাজ্জুদের গুরুত্ব অপরিসীম। আরবি তাহাজ্জুদ শব্দের অর্থ নিদ্রা ত্যাগ করা। যেহেতু রাতের আরামের ঘুম ত্যাগ করে এই বিশেষ নফল নামাজ আদায় করা হয়, তাই একে তাহাজ্জুদের নামাজ বলা হয়। এই নামাজের অপর নাম কিয়ামুল-লাইল বা রাতের নামাজ।
প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ, সবল ও মানসিকভাবে সুস্থ মুমিনের জন্য রমজানের রোজা রাখা আবশ্যক করেছে ইসলাম। তবে বিশেষ কারণে, একান্ত প্রয়োজনের মুহূর্তে রোজা না রাখা বা ভেঙে দেওয়ার অবকাশ রয়েছে।
প্রাচীন ইরাকের বিখ্যাত শহর কুফায় জন্মগ্রহণ করেন যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ফকিহ ইমাম সুফিয়ান বিন সাঈদ সাওরি (রহ.)। তাঁর সমকালীনদের মধ্যে এবং পরবর্তীতেও অনেক বড় বড় মুহাদ্দিস তাঁকে আমিরুল মোমেনিন ফিল হাদিস (হাদিস শাস্ত্রে মুমিনদের নেতা) আখ্যা দিয়েছেন।
সোলায়মান (আ.)–এর পুত্র দাউদ (আ.)। পিতার মতো তিনিও নবী ছিলেন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে নবুয়ত, জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও তাঁর পিতার রাজত্বের স্থলাভিষিক্ত করেছেন। পাশাপাশি তাঁকে এমন কিছু নিয়ামত দান করা হয়েছিল, যা অন্য কোনো নবীকে দান করা হয়নি।
পবিত্র রমজানের বিশেষ ইবাদত তারাবির নামাজ। আরবি তারবিহা শব্দের বহুবচন তারাবি, যার অর্থ বিশ্রাম করা, আরাম করা। যেহেতু এই নামাজে চার রাকাত পরপর বিশ্রাম নেওয়া হয়, তাই এর নাম তারাবি। পবিত্র রমজান মাসে এশা ও বিতরের নামাজের মাঝে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, শরিয়তের পরিভাষায় এই নামাজকেই তারাবির নামাজ..
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করো।’ (সুরা বাকারা: ১৫৩) এ আয়াত থেকে বোঝা যায়, নামাজ আল্লাহর সাহায্য লাভের অন্যতম মাধ্যম। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পরিপূর্ণ অজু করে সুন্দরভাবে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে, সে আল্লাহর কাছে..
ইসলামে জ্ঞান অর্জন ও বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। কোরআন ও হাদিসে জ্ঞানচর্চার ওপর ব্যাপক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘জ্ঞানবান ও অজ্ঞ ব্যক্তি কি সমান হতে পারে? চিন্তাভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান।’ (সুরা জুমার: ৯) এ আয়াত থেকে স্পষ্ট হয়, জ্ঞান অর্জন..